গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে শত শত অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে ফেসবুক ও টুইটার। বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টই রাশিয়া ও ইরানের। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে এরা কাজ করছিল।
প্রায় সাড়ে ছয়শ পেজ, গ্রুপ ও অ্যাকাউন্ট মুছে দেয়া হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট বা পেজের অনেকগুলোর সঙ্গেই রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের যোগসাজশ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এছাড়া ইরান থেকেও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে যাদের আচরণ সন্দেহজনক।
রাশিয়া ও ইরানের অ্যাকাউন্টগুলোর যোগসাজশে কি ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের কৌশল একইরকম। এই তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে।
এদিকে একইদিনে টুইটারও ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২৮৪টি অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে। এগুলোর বেশিরভাগই ইরান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। তারা একযোগে তথ্যবিভ্রাট করছে বলে অভিযোগ তাদের।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই ফেসবুক-টুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্মে ইরানের তৎপরতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। তাদের তৎপরতা শুধু যে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনেই প্রভাব তৈরির জন্য তা নয়, বরং তা মার্কিন জনগণ ও রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে আরো গভীরে গিয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ভুয়া সাইট ও সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে ইরান এসব ভুয়া তথ্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার জনগণকে উদ্দেশ্য করে প্রচার করে বলে দাবি করেছে ফায়ারআই।
যেসব গ্রুপকে তারা চিহ্নিত করেছে তার একটি লিবার্টি ফ্রন্ট প্রেস। এর সাথে সম্পৃক্ত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার অ্যাকাউন্ট আছে। এদের ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন, আইপি অ্যাড্রেস ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অ্যাকাউন্টগুলো নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, এদের সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের যোগাযোগ আছে।
ফায়ারআইয়ের মতে, ইরান থেকে সৌদি, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পক্ষে’ প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়। ফেসবুক ও টুইটার তাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভুয়া তথ্য ছড়ানো বন্ধে তৎপরতা ব্যাপক বাড়িয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ সদস্যদের একাংশের অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই তৎপরতা অনেক বেড়েছে।
সুত্র: কালের কন্ঠ