মাকসুদা অালমঃ আমি এই ‘গুণ্ডাতন্ত্রের’ মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই না। আমি চাই আমাকে গুলি করে মারা হোক। এতে অন্তত আমি বলতে পারবো, ‘গুণ্ডাতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মারা গেছি। ৭১’এ আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, সেটা আমার মনে আছে।
তিনি বলেন, যারা লাঠি নিয়ে নিরীহ স্কুলশিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করে আমরা তাদের গুণ্ডা ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না। আমরা গুণ্ডামুক্ত বাংলাদেশ চাই। কারা এই গুণ্ডাদের লেলিয়ে দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করেন।
পুলিশের আইজিপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংবিধানে বলা নেই পুলিশের পাশে লাঠি নিয়ে গুণ্ডাদের থাকতে হবে। এটা পুলিশ বাহিনীকে অপমান করা হচ্ছে। পুলিশকে ধ্বংস করার আলামত। সাদা পোশাকে পুলিশের পাশে যারা লাঠি নিয়ে আছে এরা গুণ্ডাবাহিনী, এদের দেখতে চাই না।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলেরর সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দীন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমানমান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মাদ মুনসুর, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম প্রমুখ।