রিকু আমির : আওয়ামী লীগের অফিসে হামলার ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে।
হাসপাতালের সিইও ও চিকিৎসক আরএম সামিউল ইসলাম শনিবার রাত নয়টায় আমাদের সময় ডটকমকে জানান, বর্তমানে ছয়জন ভর্তি আছেন, তারা আশঙ্কাজনক নয়, সকালেই ছুটি দেয়া হবে।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী- আঘাতপ্রাপ্তদের প্রায় সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। আঘাতের মাত্রা বেশি হওয়ায় ৫ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে নাক থেতলে যাওয়া এক অল্প বয়সী স্কুল ছাত্রও আছে। বাকিদের কারও চোখে, পিঠে, মাথায় গুরুতর আঘাত, তবে কেউ আশঙ্কাজনক নয়।
আরএম সামিউল ইসলাম বলেন, যে হারে আমাদের কাছে রোগী এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে আহতের সংখ্যা আরও অনেক।
এদিকে, শনিবার রাত নয়টায় আওয়ামী লীগ অফিস এলাকায় বেশ উত্তপ্ত পরিবেশ দেখা যায়। নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
অন্যদিকে, ঝিগাতলা প্রধান সড়ক সংলগ্ন সব দোকানপাট বন্ধ। ভারী যানচলাচল নেই। জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে প্রবেশের মাত্র একটি পথ খোলা আর চারপাশের শাটার নামিয়ে রাখা হয়েছে। দেখতে মনে হবে- হাসপাতাল বন্ধ। নিরাপত্তার স্বার্থে- হাসপাতালের স্টাফ, রোগী, রোগীর স্বজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।