একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ঝুঁকিতে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র ২০ নেতা। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও আছেন মনোনয়ন ঝুঁকিতে। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারা ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন। অনেকে মনোনয়নপত্র রির্টানিং অফিসে জমাও দিয়েছেন। মঙ্গলবার হাইকোর্ট এক আদেশের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন দুই বছরের দ-প্রাপ্তদের আপিল বিচারাধীন থাকলেও তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বুধবার ২৮ নভেম্বর দুপুরে হাইকোর্টের এ আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তদের নির্বাচনে প্রার্থীতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন- বিএনপি নেতা তারেক রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম, সাবেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরউদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন, আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপি ও ড্যাব নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আব্দুল ওহাব, সাবেক সাংসদ (ঝিনাইদহ) মশিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, একেএম মোশাররফ হোসেন, হাজি মকবুল আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর শাহজাহান চৌধুরী, জয়নাল হাজারী, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, এম মোরশেদ খান ।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ বুধবার। মনোনয়নপত্র বৈধ না অবৈধ, তা জানা যাবে আগামী ২ ডিসেম্বর। এর পর নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতে মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে আপিল করা যাবে। তখন আপিল বিভাগ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটা চূড়ান্ত ফয়সালা আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।