গণমাধ্যম ডেস্ক : ঈদকে সামনে রেখে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় জমে উঠেছে পশুর হাট। এসব হাটে প্রচুর পরিমাণ গরু থাকলেও ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবছরের চেয়ে দাম বেশি। আর বিক্রেতাদের দাবি, দাম কম। তবে শেষ মুহুর্তে হাটগুলোতে ভারতীয় গরু আসার আশংকায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, অতিরিক্তহারে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের কয়েকটি পশু হাটের বিরুদ্ধে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুরাকুটি, নবাবের হাট, পাটগ্রামের রসুলগঞ্জ, হাতীবান্ধার বড়খাতা, কালীগঞ্জের দইখাওয়া পশুর হাটে বিক্রেতাদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ইজারাদাররা। আর পুলিশের দাবি, চাঁদাবাজি ছিনতাই প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে, খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা এবং অর্থ লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। মেহেরপুরে হাটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে গেল বছরের তুলনায় গরুর দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
গোপালগঞ্জে পশুর হাটগুলোতে এবার সর্বোচ্চ তিন লাখ থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গরুর দাম উঠেছে। তবে কোন পশুর শরীরে বিশাক্ত দ্রব্য পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা।
যশোরে গরুর পাশাপাশি জমে উঠেছে ছাগলের হাট। এবছর খামারগুলো থেকে ২৬ হাজার ছাগল সরবরাহ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরেও জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। তবে এবার পশুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা। ভোলার হাটগুলোতে দেশীয় গরু বেশি থাকলেও ইচ্ছেমত দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়া পশুরহাটে জাল টাকার মেশিন বসানোর পাশাপাশি তিনস্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
– এসএ টিভি