আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গায়েব হওয়া ৯’শ মোবাইলের মধ্যে ৮’শ ৩৬ টি মোবাইল বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে গেছে কে বা কারা। চুরির বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করা হলে কার্গোর দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি তদন্ত কমিটি করার ঘোষণা দেয়। পুলিশ সেই চক্রটিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থেকে উদ্ধার করা মোবাইলগুলো আমদানিকারক এক্সেল টেলিকমকে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
গত ৮ জুলাই বিমান এয়ারলাইন্স কার্গো বিমানে হংকং থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে ১০ কার্টুন স্যামসাং মোবাইল ফোন। স্যামসাংয়ের জ্যাসিক্স মডেলের ৯ পিস মোবাইল ফোন ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হংকংয়ে যোগাযোগ করলে ১০ কার্টুন প্রমাণ হিসেবে স্থির চিত্র ও ভিডিও পাঠায়।
কিন্তু বিমানের কাছে কার্টুন নামানো ও কার্গো গেইটের ছবি চাওয়া হলেও তারা তা দেয়নি।
এক্সেল টেলিকমের পরিচালক মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মনসুর ভূঁইয়া বলেন, বিমান আমাদের অল্প তথ্য দিয়েছে, সেটা অনুযায়ী প্রোডাক্টটা বাংলাদেশে লেন করেনি। এটার আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা মোফ করেছি। তাদের দুর্বলতাটা কোথায় আছে সেটা আমাদের জানা নেই, কারণ আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি।
ইমএ সার্চ করে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ দেখতে পায় চুরি হওয়া মোবাইলের মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশেই ব্যবহার হচ্ছে। পরে আলিমুজ্জামান নামে রাজধানীর মোতালিব প্লাজার এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরেই চুড়ি হওয়া ফোনের কার্টুন একটি পিকাপের মধ্যে পায় পুলিশ।
বিমান এয়ারলাইন্স বলছে লাখ লাখ সিপমেন্ট হয় সেই তুলনায় অভিযোগ নেই বললেই চলে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মহাব্যবস্থাপক শাহিল মেরাজ বলেন, ১লাখ ৯৯ হাজার ৩৬ টি সিপমেন্টের মধ্যে আমাদের কাছে ক্লেন এসেছে মাত্র ৭৬ টি। অর্থাৎ প্রায় ২লাখের বিপরীতে মাত্র ৭৬ টি। এটি শতকরা হিসেবে ধরলে ০.০০০ পয়েন্টে দারায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হেন্ডেলিংয়ের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ বিমান। দেখানো হয়েছে ১২৫ টি ক্লোস সার্কিট ক্যামেরা, এবং জনবল বেড়েছে ৬০০। তার পরেও কার্গো থেকে চুরির ঘটনা থেমে থাকেনি।
সূত্র: ডিবিসি টেলিভিশন