সাংবাদিক জামাল খাশোগির ছেলে সালাহকে ফোন করে ‘সমবেদনা’ জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ‘সমবেদনা’ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজও।
সোমবার সৌদি প্রেস এজেন্সি এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি।শুরুতে অস্বীকার করলেও অবশেষে ১৯ অক্টোবর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে।
সৌদির দাবি, খাশোগিকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। খাশোগি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
দেশটি আরো বলছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই ১৫ সদস্যের গোয়েন্দা স্কোয়াড নীতিবর্জিত অবস্থান থেকে খাশোগিকে খুন করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের কোন সেম্পৃক্ততা নেই ।
তবে সৌদির এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি আন্তর্জাতিক সমাজ।
এদিকে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির লাশের টুকরো পাওয়া গেছে বলে খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।এর আগে তুরস্কের একজন রাজনীতিবিদ দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এছাড়া,মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছেন ।
পার্লামেন্টে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন,ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।২ অক্টোবর জামাল খাশোগি সৌদি কনস্যুলেটে আসার কয়েক দিন আগেই সৌদি কর্মকর্তারা খাশোগিকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’
এরদোগান বলেন, ‘তিন সদস্যের একটি সৌদি দল হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে ইস্তাম্বুল আসে। তারা ইস্তাম্বুল ও ইয়ালোভার বনাঞ্চলেও গিয়েছিলো।’ তিনি বলেন, আরো দুটি পৃথক দলে ভাগ হয়ে কনস্যুলেটে আসে হত্যাকারীরা।
এরদোগান বলেন, ‘সৌদি কনস্যুলেটের ক্যামেরাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। হার্ড ডিস্ক থেকে সব ভিডিও ও ছবি সরিয়ে দেয়া হয়। খাশোগি কনস্যুলেট ভবন থেকে বেড়িয়ে গেছেন এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সৌদি সরকার এই ঘটনার কথা ৪ অক্টোবর অস্বীকার করে, কনসাল জেনারেল রয়টার্সের এক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ করে দেখানোর চেষ্টা করে যে কিছুই ঘটেনি সেখানে’।
তিনি বলেন, প্রমাণ বলছে, পরিকল্পিত কাজের ফল হিসেবেই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ওই দলটি কেন ইস্তাম্বুল এসেছিলো? তাদের কে নির্দেশনা দিয়েছে? কনস্যুলেট কেন এতদিন পর আমাদের তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছে? কেন তাদের বক্তব্যের মধ্যে একেক ধরনের তথ্য ছিলো? হত্যার শিকার মানুষটির লাশ কোথায়? আমাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তবে ভুললে চলবে না যে এটি হয়েছে তুরস্কের মাটিতে