সংঘবদ্ধ চোরাচালানকারী চক্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বর্ণ চোরচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে আসছে। এই চক্রকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব কাজ করছে। বুধবার বিকালে র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার উজ জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
এর আগে রাজধানীর গাবতলী থেকে স্বর্ণচোরাচালানের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে ১১ কেজি ১৩৬ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক করে র্যাব।
আটক চোরাচালানকারীরা হলো, মো. রেজাউল (৩৫), মো. ওয়ালিয়ার (৫০), ওয়ালিয়ার রহমান (৫০), মো. ওহিদুল ইসলাম (৩৪) ও মো. বিল্লাল (৩৫)। এর মধ্যে ওহিদুল ইসলামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা থানা এলাকায় বাকিদের সবার বাড়ি বন্দর থানায়। তারা মঙ্গলবার রাতে গাবতলী দিয়ে জুতার ভেতরে স্বর্ণ নিয়ে যশোর বেনাপলে যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছিল। এসময় র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।র্যাব-২-এর অধিনায়ক বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসব স্বর্ণ ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর সেগুলো বিমানবন্দর থেকে পুরান ঢাকা এলাকায় নিয়ে যায়। পুরান ঢাকায় স্বর্ণের বারগুলোকে জুতার ভেতরে বিশেষ কায়দায় ঢোকানো হয়। এরপর সেগুলো ভারতে পাচারের জন্য বহনকারীদের খবর দেওয়া হয়। বহনকারীরা জুতা পরে বেনাপোলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে যায়।’ তিনি বরেন, ‘আটক চক্রটির মূলহোতা মো. ওয়ালিয়ার। সে ছয়মাস ধরে স্বর্ণ চোরাচালন করে। প্রতিমাসে ৭/৮ টি চালান তারা বেনাপোলে পৌঁছে দেয়। বিনিময়ে পাঁচহাজার করে নগদ এবং গাড়ি ভাড়া দুই হাজার মোট সাতহাজার টাকা পায়। এরা মূলত বহনকারী। মূল মালিককে আমরা আটকের চেষ্টা করছি। তারা কেউ স্বর্ণের মূল মালিকের নাম বলতে পারেনি। তবে আমরা কিছু মোবাইল নম্বর পেয়েছি, সেগুলোর সূত্রধরে তাদের আটকের চেষ্টা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-২-এর অধিনায়ক বলেন, ‘পুরান ঢাকার অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জুতার ভেতরে দশটি করে স্বর্ণের বার বহন করতে পারে চক্রটি। তাদের জুতা থেকে মোট ৯৬ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। দুইটি বার পরীক্ষা করে র্যাব নিশ্চিত হয়েছে এগুলোর সব ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ।
– বাংলা ট্রিবিউন