প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। আমার কোনো আকঙ্খা নেই। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। আশাকরি জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও সরকার গঠনের সুযোগ দেবে।
রোববার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নেপাল সফরের বিষয়ে জানাতে করা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা যে অপমান করেছে, তারপর তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না, আপনারা যে যা-ই বলুন, আমি অন্তত বসবো না।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যেতে যেন কোনো ফাঁক-ফোকর না থাকে। মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে গেলে সংসদ ভেঙে দিতে হয়। সংসদ কিন্তু কখনো শেষ হয়ে যায়নি। যদি কোনো ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, যদি কোনো যুদ্ধ দেখা দেয় তখন ওই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে।
ইভিএম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া হবে না। ইভিএম হলো একটি নতুন প্রযুক্তি। আমি সবসময় এর পক্ষে ছিলাম, এখনও আছি। তবে এটা তাড়াহুড়া করে চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। ‘কারণ এটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার। আমাদের পরীক্ষামূলক করে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, এটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক। ইভিএম নিয়ে বিএনপি অনেক বেশি সোচ্চার। কারণ বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হতে পছন্দ করে। ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে একেকজন একাধিক ভোট দিতে পারে, তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভরাতে পারে। মাগুরা, ঢাকা-১০ আসনের মতো নির্বাচন করতে চায় বিএনপি। ইভিএমে এ সুযোগ নেই, এ কারণে বিএনপি এটি চায় না। ভোটের রাজনীতিতে কারচুপি করা এটা তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, ইভিএম ডিজিটাল বাংলাদেশেরই একটা অংশ। আমরা এখন টাকা পাঠাচ্ছি অনলাইনে, গাড়ি কিনছি অনলাইনে, সবজি কিনছি অনলাইনে। এটা ঠিক যে প্রযুক্তি আমাদের সবসময়ই সুবিধা দেয় না। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইভিএম শুরু করা যেতে পারে। এটি নতুন প্রযুক্তি। কিছু কিছু জায়গায় শুরু হলে তো সমস্যা নেই। শহর এলাকায় এটি শুরু করা যেতে পারে। ত্রুটি পেলে বাদ দেয়া যাবে।’ সূত্র : নিউজ২৪, সংবাদ