রাজধানীর গাবতলীতে বেনাপোলগামী পাঁচ বাসযাত্রীর জুতার ভেতর থেকে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বুধবার র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রেজাউল (৩৫), মো. ওলিয়ার রহমান (৩০), মো. ওলিয়ার (৫০), ওহিদুল ইসলাম (৩৪) ও মো. বিল্লাল (৩৫)। তারা পরস্পরের আত্মীয়।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক মো. আনোয়ার উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চারজনের বাড়ি বেনাপোলের পুটখালীতে, আরেকজনের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায়।
“প্রত্যেকে তাদের দুই জুতার ভেতরে সোনার বার ভরে ভারতে পাচারের জন্য বেনাপোলে নিয়ে যাচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া ৯৬টি সোনার বারের অনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে চার কোটি টাকা।”
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুই বার করে মাসে আটবার এভাবে ঢাকা থেকে বেনাপোলে সোনার চালান নিয়ে যাওয়ার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওই পাঁচজন।
“প্রতিবার সীমান্ত এলাকায় সোনার বারগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে সাত হাজার টাকা করে দেওয়া হত বলে তারা জানিয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার বলেন, এসব সোনা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে এবং ভারতে পাচার হয়। এই চক্রের হোতাদের মধ্যে কয়েকজনের খোঁজও র্যাব পেয়েছে।
“জিজ্ঞাসাবাদের তারা বলেছে, একটি নম্বর থেকে তাদের ফোন করে কোনো একটি জায়গার কথা বলা হত। সেখানে গেলে আগে থেকে সাজিয়ে রাখা জুতা পেত তারা। তার ভেতরেই কৌশলে সোনার বার লুকানো থাকত। ওই জুতা পায়ে দিয়ে তারা বেনাপোলে চলে যেত।
“বেনাপোলে আরেকটি নম্বর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত এবং জুতা ফেরত নেওয়া হত।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে, যে সোনাগুলো দিচ্ছে সেও বেনাপোলের বাসিন্দা। এরা সবাই সবাইকে চেনে এবং জানে।”
র্যাব এখন এই চক্রের হোতাদেরও ধরার চেষ্টা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।