মবিনুর রহমান: দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজধানীর জিগাতলার ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা দেশবাসিকে আতংকে ফেলেছে। কি হচ্ছে জিগাতলায় ? এমন প্রশ্ন এখন অনেকের। হঠাৎ করেই ঢাকা যেন গুজবের শহরে পরিণত হয়েছে।
মূলধারার গণমাধ্যমে কাঙ্খিত সংবাদ না মেলায় মানুষ ঝুকছে ফেসবুকে। আর ফেসবুকজুড়েই এখন ছাত্র আন্দোলনের খবর। এ সুযোগে জিগাতলায় ছাত্রহত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের গুজব ছড়াচ্ছে কেউ কেউ। একারণে ছাত্র আন্দোলন সহিংসতায় রুপ নিচ্ছে বলে মনে করছে সরকার।
এদিকে গুজবে কান না দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান “গুজবে কান দিবেন না, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না। প্রযুক্তি যেন গঠনমূলক কাজে ও মানুষের কল্যাণে ব্যবহার হয়”।
ফেসবুকে গুজব ছড়াবার কারণে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নওশবাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও ত্রিশটি ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । ইন্টারনেট সংযোগ টুজিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।দীর্ঘসময় মোবাইল ডাটা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও জনমনে ‘আতঙ্ক এবং জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা’ তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে দুটি চ্যানেলের বিরুদ্ধে। সরাসরি সম্প্রচারে উত্তেজনা ছড়ানো সম্প্রচার নীতিমালার পরিপন্থী বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে অন্যদের।
এদিকে গুজব আর সত্যি ঘটনা কোনটা অনেকেই বুঝতে পারছেনা বলে জানান একাধিক ব্যক্তি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুলতান মাহমুদ জানান, জিগাতলায় কি ঘটছে সঠিক খবর এখনো আমরা জানিনা। তবে ফেসবুকে ছাত্র ও সাংবাদিকদের মারধরের ভিডিও আমরা দেখেছি।
এদিকে রাজধানীর জিগাতলায় ছাত্রহত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার কোনও সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (৫ আগস্ট) খুদে বার্তায় বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকদের কাছে এ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, ‘জিগাতলায় ছাত্রহত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। বিষয়টি পুরোপুরি গুজব। এতে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।