মাকসুদা আলম: বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে বলে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। যারা এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ তৈরি করেছে, যারা খুনীদের ছত্রছায়া দিয়েছে । জাতির কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিশ গঠন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী , ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক আলোচনা সভায় সাবেক পররাস্ট্র মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, ব্যাংকলুট, হত্যা, ধর্ষণসহ অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করে দেশকে ব্যর্থ রাস্টে পরিনত করে বিশ্বকে দেখানো হয়েছি বঙ্গবন্ধু দেশ চালাতে পারছে না। এ সকল ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত যারা তাদেরকে চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করে জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানান।
আমরা জাতি হিসেবে আমাদের অধিকার রয়েছে সামনে পিছনের সব ঘটনা জানার। সারা বিশ্বে জাতীয় নেতা বা জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পরে তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে এবং জাতীয় ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের জাতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনারেল রশিদ বলেন, ১৫ আগস্ট কেন জন্ম হয়েছিল ? বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল একটি বিস্ময় । ৭১ পরাজিত শক্তি যারা বুজতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধু কে হত্যাকরা ছাড়া তাদের কোন উপায় নাই। তসই দেশি বিদেশি চক্রান্ত।
বার বার দেশের ওপর ধাক্কা এসেছে ২১ আগস্ট তারই ধারাবাহিকতা । আমাদের চেষ্টা থাকবে জাতির সামনে সব তথ্য উপস্থাপন করা। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের ধরতে পারলে সমস্যা অনেক সমাধান হবে।
বঙ্গবন্ধুকে যথন হত্যা করা হল রাস্ট্রের সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চুপ ছিল, কেন চুপ ছিল? তারা তো রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ পদে ছিলো। কারণ তারা দেশের প্রতি আনুগত্য ছিল না।
৭৫ সালের পরে কারা ঘাতকদের কারা আশ্রয়, প্রশ্রয় দিয়েছিল তাদের রাজনীতি, অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে জাতির কাছে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন শুধুমাত্র খুনি হিসাবে জিয়ার বিচার শুরু করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।