একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই একতরফা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে আওয়ামী লীগ। সপ্তাহব্যাপি গণসংযাগের নামে কার্যত নির্বাচনী প্রচার করেছে দলটি। রাজধানী ঢাকায় এই নির্বাচনী প্রচারের সামনের সারিতে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি ১২টি গণসংযোগের স্পটের মধ্যে ৮টিতে উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহব্যাপি গণসংযোগে তিনি আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে নৌকায় ভোট চেয়েছেন। কেন তিনি নৌকায় ভোট চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিরোধী পক্ষকে কেন ভোট দেবেন না।
এছাড়া নগরীর সর্বত্রই নৌকার পক্ষে বিলবোর্ড ও পোস্টারে ভরে গেছে। তবে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাসহ নিজের ছবি দিয়ে দোয়া ও নৌকায় ভোট চেয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর গুলশান-১-এর চৌরাস্তায় নৌকার পক্ষে অন্তত ৬-৭টি বড় বড় বিলবোর্ড ও কয়েকশ পোস্টার লাগানো হয়েছে। এ ধরণের আগাম নির্বাচনী প্রচারণা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাথা ব্যাথা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তফসিলের আগে প্রচার প্রচারণা চালানো যাবে না এমন কোনো নির্দেশনা নেই। আর দলের নেতাকর্মীরা সব সময়ই তাদের প্রচারণা চালান। যেহেতু সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই অনেকেই বিলবোর্ড ও পোস্টার লাগিয়েছেন।
এদিকে, রাজধানীতে সাটানো বিলবোর্ড ও পোস্টারে লেখা রয়েছে এখন আমাদের সময়, এখন বাংলাদেশের সময়, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সরকার, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনার সরকার, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। শেখ হাসিনার সরকার, উন্নয়নের দরকার, নৌকায় ভোট দিন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করুণ, নৌকায় ভোট দিন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আস্থার ঠিকানা, উন্নয়নের রোলমডেল শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
এছাড়াও বিলবোর্ড ও পোস্টার লাগানো হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয়। এরমধ্যে রয়েছে-গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, লক্ষ্মীবাজার, তাতীবাজার, ইংলিশ রোড, সদরঘাট, পল্টন, শাহবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আসাদ গেট, কলেজ গেট, দারুস সালাম, ধানম-ি, কলাবাগাণ, ফার্মগেট, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, বাংলা কলেজসহ এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে বিলবোর্ড দেখা যায়নি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, গত ১০ বছরের সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেই উন্নয়নের ধারা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই প্রচার প্রচারণা।