ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে ভারি বৃষ্টির সাথে ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি গতিতে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চল দিয়ে ঢুকে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বাংলাদেশে কোনো ক্ষয় ক্ষতির আশংকা নেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সমুদ্র এলাকায় ৩ নম্বর ও ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ সকালে গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের ওডিশা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে তা উপকূল অতিক্রম করবে।
অধিদপ্তর বলছে, তিতলি হ্যারিকেনের তীব্রতা নিয়ে ভারতে আঘাত হানলেও সেটি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকে দুর্বল হয়ে তিতলি বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে।
ভারতের ওডিশার কাছাকাছি গোপালপুরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে উপড়ে গেছে গাছপালা এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে আছড়ে পড়ার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উত্তরের দিকে এসে ওডিশায় আঘাত হানার সময় বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।