সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে একে অপরকে ‘তুই’ সম্বোধন করায় দক্ষিণখান চেয়ারম্যানবাড়ী নগরিয়া এলাকায় হত্যা করা হয় মেহেদী হাসান শুভ। গত ৩১ আগস্ট তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেফতারের পর হত্যার এই কারণ সম্পর্কে জানা গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাইফ, মনির, আরাফাত, সাইফুল, মেহেরাব, আপেল, সিফাত ও সোহেল। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
মাসুদুর রহমান জানান, দক্ষিণখানের ওই এলাকায় দু’টি টিনেজ গ্রুপ সক্রিয় ছিল। একটি শান্ত ও অপরটি আরাফাত গ্রুপ। নিহত মেহেদী শান্ত গ্রুপের ছিল। ঘটনার কিছুদিন আগে আরাফাত গ্রুপের এক সদস্য কাউসার মেহেদীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে। এই তুই বলার জেরে শান্ত গ্রুপের ছেলেরা আরাফাত গ্রুপের কাউসারকে মারধর করে। এরপর ১৮ আগস্ট আবারও শান্ত গ্রুপের সদস্যরা আরাফাত গ্রুপের সাইফকে মারধর করে। এর পরপরই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রোগ্রামে মিছিল নিয়ে আসার পর মেহেদীর ওপর হামলা চালায় আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মাসুদুর রহমান জানান, আসামিদের মধ্যে সানি ও সোহেল মেহেদীকে জড়িয়ে ধরে এবং সাইফ চাকু দিয়ে মেহেদীর বাম কানের নিচে স্টেপ করে এবং অন্যনা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় মেহেদীকে প্রথমে কেসি হাসপাতাল ও পরবর্তীতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও নিজস্ব ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে আসামিদের সিলেট ও দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মাসুদুর রহমান।
– বাংলাটিবিউন