গণমাধ্যম ডেস্কঃ নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে তুলতে এক সপ্তাহ পর কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। তার মানে এই নয় যে তারা অরাজকতা করতেই থাকবেন, আর আমরা দৃশ্য দেখতে থাকব। মোটেই না, আমাদেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। সেটা অতিক্রম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রোববার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট দেশব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদু্জ্জামান মিয়া বলেন, “পুলিশ আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। তবে ব্যবহারে নমনীয় থাকবে।”
পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, “আমাদের ট্রাফিক আইনটি মানার জন্য বাধ্য করতে হয় এখানে। আইন তো হয় মানার জন্য, বাধ্য করার জন্য নয়।”
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সড়কে নেমে গাড়িও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা শুরুর পর এই ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের ঘোষণা আসে।
শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে উঠে আসা নয়টি দাবি পূরণের ঘোষণা দেওয়া হলেও তারা রাজপথ ছাড়ছে না। এর মধ্যে আন্দোলনরতদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটতে শুরু করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেও বলেছি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অন্য দিকে নেওয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন হাজার হাজার আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো হয়েছে। একটাও স্কুলের ছাত্র নয়, সব প্রাপ্তবয়ষ্ক।”
পাশাপাশি নানা গুজব ছড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “পাকিস্তানে কী ঘটেছে, সেটা এনে এখানে দেখানো হচ্ছে। দিল্লিতে কী ঘটেছে, আমাদের ২০১৩/১৪ সালের ছবি দৃশ্য দেখাচ্ছে।
“আর নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কমেন্টস পোস্ট করছে। এগুলো বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তারা।
আমরা বলব, তারা এগুলো পরিহার না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচারের নজির হিসেবে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের ভিডিও তুলে ধরে তিনি বলেন, “শুধু তিনি (অভিনেত্রী) নন। আমাদের দায়িত্বশীল নেতা (আমীর খসরু), আমরা তাকে ভালো নেতা বলেই জানতাম। তিনি কুমিল্লা থেকে আহ্বান করলেন তারা ঢাকায় এসে যেন আক্রমণ করে।”
শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তাদের দাবি অপূর্ণ নেই। নয়টি দাবির দুটি দাবি, যেমন আইনের কথা বলেছে সেটার সময় লাগবে, আগামীকাল সেটা কেবিনেটে উঠছে। আন্ডারপাসও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে, সেটারও কাজ শুরু হবে।
“কাজেই এখন আর কিছু নেই। তাই আপনাদের মাধ্যমে বলব, তারা যেন রাস্তা থেকে ফিরে যায়।”