দোরগোড়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে চলতি মাসেই গঠন করা হবে নির্বাচনকালীন সরকার। সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এ সরকারে থাকছে না বিএনপি।
নির্বাচনকালীন সরকার থাকা না থাকা নিয়ে যতই অনিশ্চয়তা থাকুক না কেন নির্বাচনে বিএনপি থাকবেই। তৃণমূলে এ বার্তাটি দিতে এখনই দলের পরিকল্পনা সাজানো উচিত বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে পরিস্থিতি যাই হোক এই নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির জন্য ঠিক হবে না।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মতে যেহেতু সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচনের পথে হাঁটছে সরকার। তাই এ পথেই নিজেদের দাবির সর্বোচ্চটা আদায়ে কৌশলি হতে হবে বিএনপিকে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেইন রাজনীতিতে দয়া বা ছাড় দেওয়ার কোন প্রশ্ন আসবে না। আইনের ভিতরে থেকে যে যতটুকু আদায় করতে পারবে, সেটাই করতে হবে। যেহেতু সংসদের বিএনপির প্রতিনিধিত্ব নেই। এতে আইন যা আছে, সরকারে বিএনপি থাকবে, এটা আমার মনে হয় না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে বিএনপিকে যেতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিত্ব সংসদের থাকতে হবে। তাহলে তারা তাদের বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবে সহজেই।
তবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খানের মতে সরকার চাইলে এখনো বিকল্প পথ বের করা সম্ভব। আর সে ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে বসতে হবে আলোচনার টেবিলে।
মো. হাফিজ উদ্দন বলেন, সরকার সংবিধানে দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু এ সংবিধান কারা করেছে; এ সংবিধান-তো তারাই করেছে। এরই জন্যই আমরা জাতীয় সংলাপ করতে বহু বার বলেছি। আলোচনার টেবিলে বসে, একটা সমাধান বের করা, যাতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে যাওয়া উচিত ছিল। আমি এখনো বলি, সরকার যেভাবে নির্বাচন করুক না কেন; নির্বাচন বয়কট করা ঠিক হবে না।
পরিস্থিতি যাই হোক পাঁচ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনেও বিএনপি অংশ না নিলে তার ফল দলের জন্য সুখের হবে না বলেই মত তাদের।
সব দলের ছাড় দেয়ার মানসিকতা না থাকলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। সূত্র: সময় টিভি