একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর তাই এখন শুধু একজন খেলোয়াড়ই নন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি এবং দেশের নীতিনির্ধারকও। সেই তুলনায় খেলোয়াড় বা ক্রিকেটার সত্তা যেন অন্য গ্রহের প্রাণ! অথচ নির্বাচনের ব্যস্ততা শেষ করে মাশরাফিকে বছরের শুরুতেই যোগ দিতে হয়েছে বিপিএলে। যা কি না আবার শুধু ‘খেলার জন্য খেলা’-ই নয়। মাশরাফি বিপিএল কাঁপাচ্ছেনও!
গত মঙ্গলবার তার বিধ্বংসী বোলিংয়েই রংপুর রাইডার্সের কাছে পাত্তা পায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ-সেরা এবং জয়ী দলের অধিনায়ককে সংবাদ সম্মেলনে পেয়ে স্বভাবতই ছুঁড়ে দেওয়া হল প্রশ্ন- কীভাবে সামলান সবকিছু?
উত্তরে মাশরাফি বললেন, যখন যে কাজ বা দায়িত্বে থাকেন তখন সেখানেই ঢেলে দেন পূর্ণ মনোযোগ। আর এতেই ধরা দিচ্ছে হয়ত ভুরি-ভুরি সাফল্য!
মাশরাফি বলেন, ‘ফোকাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম যে আমার ট্রানজিসন পার্টটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু আমি বেশ ফোকাসড ছিলাম। আমি যখন যেটা করছিলাম সেটাতে ফোকাস রেখেছি।’
একইভাবে নির্বাচনের কাজকর্ম শেষে মাশরাফির মনোযোগ এখন ক্রিকেটে, তথা বিপিএলে। এখানেও তিনি তার দল রংপুর রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দারুণভাবে। আর এর কারণ, ‘বর্তমান’-এ আটকে থাকা, ‘সম্প্রতি আমি একটা জিনিস ভালো শিখেছি যে আমি বর্তমানে থাকতে পারি। কারণ এতো বেশি শিফটিং হয়েছে আমার জীবনে। খেলা-নির্বাচন- খেলা। এটা আমাকে শক্তি দিচ্ছে, আমি বর্তমানে শক্ত থাকতে পারছি।’
নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে বিপিএলের আগে ঠিকমতো অনুশীলনও করতে পারেননি মাশরাফি। তারপরও কীভাবে এই অগ্নিঝরা বোলিং? ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই ক্রিকেটারের উত্তর, ‘নড়াইল থেকে এসে দুইদিন আগে অনুশীলনও করতে পারিনি। আমার মনে হয় মানসিকভাবে আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমার ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি যে আমি ফোকাস ছিলাম যে আমার খেলতে হবে প্রথম ম্যাচ থেকে।’