কেউ থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে, কেউ চড়েন বউয়ের গাড়িতে। কারো কারো স্ত্রী, তাদের নিজেদের চেয়েও বেশি সম্পদশালী। আবার কারো পাঁচ বছরের ব্যবধানে সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলনামায় এমন তথ্যই দিয়েছেন রাজনীতিবিদরা।
রাজনৈতিক আদর্শের দুই মেরুতে অবস্থান। একজন দলের সাধারণ সম্পাদক আরেকজন মহাসচিব।
হলফনামার তথ্য বলছে, ১০ বছরে ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫ গুণ। তবে নিজের নামে রাজধানীতে নেই কোন ফ্ল্যাট। বার্ষিক আয় ৩১ লাখ ১৭হাজার ৬৫১ টাকা। বর্তমানে কোন ফৌজদারী মামলা নেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। যদিও ২০০৮ এ নির্বাচনের আগে ২৪টি মামলা ছিল।
১০ বছরে আড়াই গুণ সম্পদ বেড়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। থাকেন স্ত্রীর ফ্ল্যাটে চড়েন তার দেয়া গাড়িতেই। মির্জা ফখরুল তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন, ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৩টাকা। ১০ বছর আগে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকলেও এখন সে সংখ্যা ৪৬।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৬ গুণ। বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চলছে ৬টি মামলা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বছরে আয় ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৬৬ টাকা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা চলমান।
ঢাকা ১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান। তার আয়ের বড় উৎস শেয়ার বাজার। নগদ অর্থ রয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা প্রায় ৩ কোটি টাকা। আর দায় দেনা ৮৩ কোটি টাকার কিছু বেশি।
রাশেদ খান মেনন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। গত ১০ বছরের আয় বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ আর অস্থাবর সম্পত্তি তিনগুণের বেশি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহম্মেদের বছরে আয় ৪২লাখ ১ হাজার ১২৯টাকা। আর ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ১৭ লাখ ৮৯৫টাকা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের আয় ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৭হাজার ৯শ টাকা।
মনোনয়ন পত্র চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে সবার হলফনামার তথ্য দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।- চ্যানেল24