গণমাধ্যম ডেস্কঃ সামনে কোরবানির ঈদ। আর কোরবানির ঈদ মানেই দেশজুড়ে পশু বেচাকেনার হিড়িক। এ ঈদ উপলক্ষে দু-এক সপ্তাহ আগে থেকেই চলে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উটসহ বিভিন্ন ধরনের পশু বেচাকেনা। বিশেষ করে বাংলাদেশে কোরবানির জন্য গরুকেই গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। পছন্দের তালিকায় গরু শীর্ষে বলেই এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
অধিক মুনাফা লাভের আশায় স্বল্প সময়ে বেশি মোটাতাজা করতে তারা গরুকে খাওয়ান নানা ধরনের ট্যাবলেট এবং মাংসপেশিতে প্রয়োগ করেন নিষিদ্ধ ইনজেকশন, যা গরু ও মানুষ উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঈদের এক-দেড় মাস আগেই গরু মোটাতাজা করার জন্য খামারিরা কিছু অসাধু পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।
স্টেরয়েড গ্রুপের ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ডেক্সামেথাসন জাতীয় ইনজেকশন দেয়া গরু খুব শান্ত হয়। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। গরুর ঊরু অনেক বেশি মাংসল মনে হয়। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখায়। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে যায়।
গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখেও গরুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। ট্যাবলেট খাওয়ানো হলে গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলে। গরুকে খুব ক্লান্ত দেখা যায় আর সারাক্ষণ হাঁপাতে থাকে। গরুর মুখে অতিরিক্ত লালা বা ফেনা লেগে থাকাও কৃত্রিম উপায়ে গরুকে মোটা করার আরেকটি লক্ষণ। তাই এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
ভালোভাবে খেয়াল না করলে এসব বিষয় ধরা মুশকিল। যেহেতু সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানি করার জন্য গরু কিনতেই হবে। তাই সুস্থ আর ভালো গরু চিনেই কেনা উচিত। কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা গরু আমাদের অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। ভালো হয় অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিয়ে গরু কিনলে। এতে করে যেমন ভালো গরু কেনা যাবে, তেমনি অসাধু গরু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে বাঁচা সম্ভব।