রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এবং এবারের কোরবানির পশুর হাটে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, গরু ব্যবসায়ীরা যেকোনো সময় যেকোনো হাটে তাদের গরু নিয়ে যেতে পারবেন। এতে হাট ইজারাদার বা অন্য কেউ বাধা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক এক হাটের গরু অন্য হাটে নামানোর কোনও অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। হাটের প্রথম দিকে রামপুরা ও মেরাদিয়া হাটে এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। হাটের ইজারাদাররাও নির্ধারিত মূল্যেই হাসিল আদায় করছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি। এখন পর্যন্ত অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে বা হাটে কোনও চাঁদাবাজির ঘটনার অভিযোগ আমরা পাইনি। যদি কোনও বিক্রেতা তাদের গরু অন্য হাটে নিয়ে যেতে চান তবে তাদের যেন যেতে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ফাঁকা রাজধানী ও মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা তৎপর রয়েছি। ছিনতাই ও বাসাবাড়িতে কোনও চুরি যাতে না হয় সে বিষয়ে পুলিশের সব ইউনিটের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
কোনো কাউন্টারে যদি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে আমাদের ভিজিলেন্স টিম নজরদারি শুরু করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনে অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। লঞ্চঘাটেও আমাদের একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে সে বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।