প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত হওয়া মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কলকাতার সত্যজিত রায় অডিটোরিয়ামে রোববার (২৬ আগস্ট) মাদার তেরেসার ১০৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯তম আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে এ ঘোষণা দেন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস।
‘প্রথম মরণোত্তর মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা দেওয়া হবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কলকাতায় গিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। আপনারা যদি বাংলাদেশে এসে এই সম্মাননা দেন তাহলে আমি ও আমার বোন সাদরে গ্রহণ করবো।’
কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস বলেন, গত ১৮ বছর ধরে সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে সমাজে নানা অবদানের জন্য। সে ধনী হোক বা দরিদ্র। ভারত ছাড়াও আমরা বাংলাদেশের একাধিক বিশিষ্টজনকে এই সম্মননা দিতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি।
‘মাদারের মৃত্যু পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে ছিলাম। আমিই প্রথম তাকে সন্ত উপাধি দেওয়ার জন্য ভ্যাটিকান সিটিকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। বিশ্বের এতো শহর থাকতে মাদার তেরেসা কলকাতাকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে ওনাকে প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। সে সময় তাকে গ্রামে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’
এবার যৌথভাবে ১৯তম মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের টিএম প্রোডাকশনের দুই ব্যক্তিত্ব। এর আগে এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব।
মাদার তেরেসার ১০৮তম জন্মবার্ষিকী ও ভারতের রাখি উৎসব কেন্দ্র করে এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে ‘শুর-ই যে শান্তির পথ’ এমন সামাজিক অবদানের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা পান টিএম প্রোডাকশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কৌশিক হোসেন তাপস এবং চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি।
কৌশিক হোসেন বাংলাদেশের কনিষ্ঠ ব্যক্তি যার সলো অ্যালবাম মুক্তি পায় মাত্র আট বছর বয়সে। অ্যালবামটিতে সেরা টিউনের জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড জিতে এক অনন্য নজির গড়েছিলেন তিনি এবং বাংলাদেশের তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সেরা গায়ক ও সুরকার হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পেয়েছিলেন। ফারজানা মুন্নি বাংলাদেশের ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিত। টিএম প্রোডাকশনের উদ্যোগে ১৮টি দেশ নিয়ে মিউজিক পারফরম্যান্সে সেরা মঞ্চ প্ল্যানিংয়ে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন তিনি।
মাদার তেরেসার জন্মবার্ষিকীতে সমাজের প্রান্তিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের দিয়ে কেক কাটিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের তিনজন বিশিষ্টজনকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ পদক তুলে দেওয়া হয়।
– বাংলা নিউজ