নিজের পায়ে কিভাবে দাঁড়াতে হয় তা ভালই জানেন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। এবং এও জানেন কেউ প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ায় না। মাত্র ৬ বছরে তাকে একা ফেলে চলে যান তার মা শীলা গ্রেগরি। অথচ স্টর্মি ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। সানডে মিররকে দেয়া সাক্ষাতকারে অকপটে এসব বলেন স্টর্মি। তিনি বলেন, জীবনভর যে সংগ্রাম তিনি করে আসছেন তা তাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে স্ক্যান্ডালের পরও টিকে থাকতে সাহায্য করেছে, শক্তি যুগিয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে রাত্রিবাসের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সঙ্গীতশিল্পী গ্লেনডন ক্রেইনের সঙ্গে তার তৃতীয় বিয়ে টেকেনি।
স্টর্মি ড্যানিয়েলস ভাল করেই জানেন ফের তিনি যদি প্রেমে পড়েন তা আরেকবার দু:সহ স্মৃতি বয়ে আনবে। অনবরত হত্যার হুমকির জন্যে তাকে অজস্র ব্যয় করতে হচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীদের পিছনে। কিন্তু তরুণ বয়সেই তিনি জেনে গেছেন কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হয়। তাকে যখন অভুক্ত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয় তখন তিনি কিছুটা ভেঙ্গে পড়লেও আস্তে আস্তে সবই সামাল দিতে শেখেন।
স্টর্মি বলেন, আমার মেয়ে অনেক সাহসী, ওর বয়সে আমি অত সাহসী ছিলাম না। জীবনে কেউ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দাঁড়াতে পারে, আদতে তার জন্মই হয় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্যে। আবার কেউ ভেঙ্গে পড়ে। হতে পারে তা হয়ত দারিদ্র, হয়ত মাদক, মদ, কিশোরী বয়সে গর্ভবতী হয়ে পড়া, সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। কিন্তু আমি এসব চাইনি, যা চেয়েছি তা হচ্ছে প্রমাণ করা যে সবাই দোষী।