ভোট করতে ইচ্ছুক যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের অর্ধেকের বেশি প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশনে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। গত ২ নভেম্বর বাছাইয়ের পর নানা কারণে ৭৮৬টি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করার সুযোগ সোম, মঙ্গলবার ও বুধবার। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসে এই আপিল করতে হয়।
প্রথম দিন সোমবার ৮২ জন আপিল করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ২৩৪ জন আপিল করেন বলে ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে দুদিনে আপিলকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৬।
পটুয়াখালী-১ আসনের জাতীয় পার্টির সদ্যবিদায়ী মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল- ২ আসনের চিত্রনায়ক সোহেল রানা, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, নাটোর ২ আসনে বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু দ্বিতীয় দিনে আপিল করেছেন।
তিনটি আসনের সব ক’টিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় দিনেও কোনো আপিল আবেদন হয়নি।
দ্বিতীয় দিনে নির্বাচন কমিশন চত্বরে প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা ৭টি বুথ স্থাপন করে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা বিভাগে ৬৮টি, চট্টগ্রামে ৫৬টি, বরিশালে ১২টি, সিলেটে ১৫টি, ময়মনসিংহে ১৬টি, রংপুরে ২৭টি, রাজশাহীতে ২২টি ও খুলনা বিভাগে ১৮টি আপিল আবেদন জমা পড়ে।
বুধবার আপিলের পর সব আবেদন নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করবে ইসি। এরপর তা নিষ্পত্তি করা হবে। এরপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আদালতে যেতে পারবেন।
আপিল নিষ্পত্তির পর ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে ইসি। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীরা নামতে পারবেন ভোটের প্রচারে। প্রচার শেষে ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।
আপিল আবেদন জমা দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কোনো খেলাপি ঋণ নেই, মামলা-মোকদ্দমা নেই। আয়কর দেখে হলফনামাটা করে দিতে বলেছিলাম উকিলকে। হলফনামায় প্রিন্টিং মিসটেক করেছেন। ৬, ৭ ও ৮ নম্বরে সিরিয়াল ভুল হয়েছে। আইনজীবী আর যে টাইপ করেছে, তার ভুল। আমি নাম্বারগুলো শুধু দেখেছিলাম, গ্রাউন্ডটা দেখিনি।”
এই ‘সামান্য ভুল’ নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাকির।
এই আসন থেকেই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের। দুই প্রার্থীই একই সময়ে আপিল আবেদন করেন।
নির্বাচনী প্রচারে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন ঢাকা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি।
অমি বিএনপি নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের ছেলে। এই আসনে আমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে অমির বড় ভাই কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নিরাপত্তার আবেদনটি জমা দেন।
আবেদনে বলা হয়, “একই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল ইসলামের সাথে পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ইরফান ইবনে আমান অমি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা বোধ করছেন।” – বিডিনিউজ24.কম