জাভা সাগরে ১৮৯ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশীয় উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স ডুবুরিরা খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ডুবুরি। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ওই ডুবুরির বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে জাকার্তার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পরই টিন খনির শহর পাংকাল পিনাংয়ের পথে রওনা হওয়া উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলার পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটির কোনো যাত্রী আর বেঁচে নেই এটি এখন প্রায় নিশ্চিত।
কী কারণে প্রায় নতুন উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হল, ব্ল্যাক বক্স পেলে সে সম্বন্ধে ধারণা করা যাবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।
তল্লাশি জাহাজ বরুনা জায়ায় মেট্রো টিভিকে ডুবুরি হেনড্রা বলেছেন, “সাগরের তলের কাদা ও আবর্জনা খুঁড়ে আমরা ব্ল্যাক বক্সটি পেয়েছি।”
জিনসটি কমলা রংয়ের ও অক্ষত অবস্থায় এটিকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার নাকি ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার তা জানাননি তিনি। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার, উভয়কেই সাধারণত ব্ল্যাক বক্স বলে উল্লেখ করা হয়।
এখন পর্যন্ত কেবল উড়োজাহাজটির ‘ছোট ছোট টুকরা’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এই ডুবুরি। তবে এভাবে এগিয়েই তল্লাশি দল পর্যায়ক্রমে ব্ল্যাক বক্সের কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার তল্লাশি ও উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ ব্ল্যাক বক্স পাওয়া যাওয়ার কথা নিশ্চিত না করে ‘একটি কমলা রংয়ের বস্তু’ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা প্যানেলের উপপ্রধান হারিয়ো সাতমিকো রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, একটি ‘পিং’ শব্দ যেটি ব্ল্যাক বক্স থেকে আসছে বলে বিশ্বাস আরও পরিষ্কারভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, একটি ডুবো ড্রোন একটি বস্তু শনাক্ত করেছে যেটি উড়োজাহাজটির কাঠামোর অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্ল্যাক বক্সটি যে এলাকায় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল ওই এলাকাটির ধারণা নিতে ডুবুরিদের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে অনুসন্ধান শুরু করে বলে জানিয়েছেন হারিয়ো। সাগরের পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে তীব্র স্রোতের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস তারা ঠিক জায়গাটিতেই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। কারণ এখান থেকে লাইফ জ্যাকেট, প্যান্ট, ম্যাগাজিনের মতো বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে যেগুলো বিধ্বস্ত বিমান থেকেই এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ সিয়াউগি জানিয়েছিলেন, পাওয়া গেলে উড়োজাহাটির কাঠামোটিকে পানি থেকে ওঠাতে ক্রেন ব্যবহার করতে হবে, কারণ ওই কাঠামোটির ভিতরে অনেক মৃতদেহ আটকা পড়ে থাকতে পারে।
– বিডিনিউজ