ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক যোগাযোগ পরিচালক ক্যারি সিমেন্ডস’এর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। গত ফেব্রুয়ারি ক্যারির ৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে বোরিস জনসন যোগ দেন, নিয়মিত গোপন অভিসারে তারা মিলিত হতেন। তাদের এ প্রেম নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দি সান। ম্যারিনা হুইলারকে বিয়ের পর থেকেই একই সমান্তরালে তাদের গোপন প্রেম পরিপক্কতা লাভ করে। আর এ গোপন প্রেমই বোরিস জনসনের সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে সান অনলাইন।
গত সপ্তাহে ৫৪ বছরের বোরিস জনসনকে তার সমবয়সী স্ত্রী ম্যারিনার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির খবর জানাতে হয়। কৌতুকপ্রিয় এই ব্রিটিশ রাজনীতিক তার জীবনকে সংসারে ভাঙ্গন ও নতুন প্রেমের সন্ধিক্ষণে আরো কৌতুকময় করে তুলেছেন। ব্যক্তিগতভাবে ডিনারে ক্যারির সঙ্গে আবেগঘন মেলামেশা বোরিস সেরে নিতেন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলোতেই। ঘন্টার পর ঘন্টা ক্যারিকে টেক্সট পাঠাতেন বোরিস। প্রয়োজনে নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দিতেন ক্যারিকে তুলে আনার জন্যে। এবং এধরনের অভিসার বোরিসের ২৫ বছরের সংসারকে ভঙ্গুর করে তোলে। বোরিসের স্ত্রী ম্যারিনা, ক্যারিকে পাঠানো টেক্সট’এর সন্ধান পেয়েছিলেন অনেক আগেই। কিন্তু স্বামীকে সামাল দিতে পারেননি। কয়েক মাস ধরে বোরিস ও ক্যারির সম্পর্কের কথা ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বোরিস ও ক্যারির সম্পর্ক এতই মজবুত হতে থাকে যা অবিশ্বাস্যভাবে ম্যারিনার সংস্কারকে অপাংক্তেয় করে তুলেছিল। অন্যদিকে লন্ডনের কভেন্ট গার্ডেনের একটি রেস্টুরেন্টে ভ্যালেন্টাইন ডে ডিনারে চুটিয়ে প্রেম আর অজানা ভবিষ্যতে মশগুল হয়ে পড়েছিলেন বোরিস ও ক্যারি।
ব্রিটেনের টরি পার্টির চাকরি সম্প্রতি ছেড়ে দিয়েছেন ক্যারি। বোরিসের সঙ্গে তার খোলামেলা মেলামেশা ডাউনিং স্ট্রিটে তাদের ‘বিশ্বস্ততা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ব্লুমবার্গে ইতিমধ্যে ক্যারি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য বোরিসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জবিন নিয়ে মুখ খুলতে চান না তার বস। এক সহকর্মীর বিয়েতে বোরিস জনসন যখন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন ক্যারিকে এমন এক টেক্সট পাঠিয়ে ছিলেন, জানাজানি হলে তা আশে পাশের অনেককে বিস্মিত করে তোলে।