ভারতের বৈদেশিক আয়ের (রেমিটেন্স) চতুর্থ বৃহত্তম উৎস বাংলাদেশ, এ তথ্য ‘পুরোপুরি ভুল’ বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় রেমিতেন্সের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস, আমরা এর জন্য গর্ববোধ করি।
এফবিসিসিআই’র সভাপতির এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া রেমিটেন্স নিয়ে জনাব মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্য পুরোপুরি ভুল। আমি জানি না আপনি এ তথ্য কোথায় পেলেন। আপনার কাছে এ সম্পর্কিত তথ্য থাকলে হাইকমিশনকে দিন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে বসে, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রেমিটেন্স উৎস!’
শুধু তাই না, সেখানে বিভিন্ন লিংক ও ছবি দেখিয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স গেছে ভারতে, এমন বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়, যা পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেমিটেন্স যায় ৮৩২ কোটি ডলার। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৫০ কোটি ডলার। অথচ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক বা আইএমও কোথাও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এই তালিকার পরবর্তী রাষ্ট্রগুলো যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, যুক্তরাজ্য, ওমান, নেপাল, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া রেমিটেন্স ও মাইগ্রেট ইস্যুতে নির্ভরযোগ্য তথ্য দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টারের’ ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ওই তালিকায় বাংলাদেশ ২৫তম (১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার)।