পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সাথে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের সাথে পারস্পারিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
সোমবার সন্ধ্যায় ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দু’দিনব্যাপী ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলন, ২০১৮-এর প্রথম দিনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তখন দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও বেশি ফলপ্রসু করতে সব প্রকার বাণিজ্যিক বাধা দূর করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জ্বালানিখাতে সহযোগীতার কথা উল্লেখ করেন। এ খাতকে আরো বেগবান করতে ভারত বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা অর্জনে সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এছাড়া নতুন বিদুৎ উৎপাদন প্রকল্পগুলোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানীর বিষয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সহযোগতিায় নেপাল ও ভূটানের সাথেও বিদ্যুৎ খাতে সহাযোগীর সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের মধ্যে জলবিদুৎ খাতে যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে শীঘ্রই সেটা চুক্তিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিবিআইএন দেশগুলোর অর্থনীতিতে নবধারার সঞ্চার করে পারস্পরিক সর্ম্পকে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। চার দেশীয় পরিবহন নেটওয়ার্ক গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অভিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানীকে বাধাগ্রস্ত করছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সুষমা স্বরাজকে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো বেশি ফলপ্রসূ করার জন্য সকল প্রকার বাধামুক্ত করার অনুরোধ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ যেকোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের নিন্দা জানায় এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরন করে। যে কোন ধরনের ব্যক্তি বা দলের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড বাংলাদেশের মাটিতে ঠাঁই নেই। রোহিঙ্গায় সমস্যায় তিনি বলেন, ভারত এই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে। এই সমস্যা সমাধান করতে মায়ানমারের প্রতি কার্যকরি চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত শর্তহীন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে নিরাপদ, টেকসই ও মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।