মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় ১০০’র কোটা ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ আরও চার জেলায় চার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
নতুন চার মেডিকেলসহ দেশে মোট সরকারি মেডিকেলের সংখ্যা দাঁড়ালো- ৩৩টিতে। অন্যদিকে ৬৫টি বেসরকারি ও সেনাবাহিনীর অধীনে ৬টি আধা-সরকারি মেডিকেল কলেজ, সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের (মেডিকেল কলেজে থাকা ডেন্টাল ইউনিট বাদে) সংখ্যা ১৪টি, ইউনানী আয়ূর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ১টি। সব মিলে বর্তমানে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১১৯টি।
নতুন চার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হচ্ছে- নওগাঁ, নেত্রকোণা, মাগুরা ও নীলফামারাী। এ সম্পর্কে গত রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক কথা বলেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী-এসব মেডিকেলের অবকাঠামোগত উন্নয়নও শুরু হয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রতিটি কলেজে ২৫০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এদিকে, চাঁদপুরেও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের ঘোষণা আছে সরকারের। ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দেন। এটি নির্মাণ স্থান হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা সেতু সংলগ্ন ও ডাকাতিয়া নদীর পাড়স্থ প্রায় ৩১ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৭ জুলাই জায়গাটি পরিদর্শনও করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, প্রতি জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং প্রতি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। ২০১৬ সালের মার্চেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষু সমিতির একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন-প্রতি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ নির্মাণে সরকারের চিন্তাভাবনার কথা।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব এ প্রতিবেদককে বলেন, মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা তো বড় কথা নয়, বড় কথা-এসব সঠিকভাবে, সঠিক লোক দিয়ে পরিচালনা করা যাবে কি-না, সেই পরিমাণ লজিস্টিকস, জনবল আছে কি-না। এসব বিবেচনায় এভাবে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সুফল না আসার সম্ভবনা-ই বেশি।
তিনি আরও বলেন, দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। এটা ঠিক। তাই বলে কোয়ালিটি বাদ দেয়া যাবে না। এটা তো প্রাইমারি শিক্ষা বা সার্বজনীন শিক্ষা নয়। মেডিকেল কলেজ থেকে যারা বের হবেন, তারা তো চিকিৎসা দেবেন। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত না করা গেলে মানুষ এর ভুক্তভোগী হবেন। চিকিৎসক ঘাটতি দূর করতে ভাল পরিকল্পনার অভাব বলে মত দেন তিনি।