যা–ই হোক, এত কিছুর পরও আশা করব, নির্বাচন কমিশন শক্ত উদ্যোগ নেবে। যদি না নেয়, তা হবে হতাশাব্যঞ্জক। আর নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশ থেকে ব্যর্থতার দায় কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওপরই বর্তানো হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়ার কারণে। কাজেই সংকট উত্তরণের দায়িত্বও বিএনপিকে নিতে হবে। সামনে যত বাধাই আসুক বিএনপিকে সেটা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার প্রথম আলোতে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
এম সাখাওয়াত হোসেনের ভাষায়, বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পাল্লা আজ একদিকে হেলে পড়েছে। যত বিতর্কই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত বড় দুই দলের ওপর বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্ভর করে। প্রত্যেক বড় দলকেই মনে রাখতে হবে, দল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, বরং জনগণের সম্পদ।
‘শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করাটা মোটেই সমীচীন মনে বলে করি না। কারণ, তাদের প্রার্থীরা তো মাঠে আছেন। তাঁরা এত দিন ধরে শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। শেষ মুহূর্তে সরে গেলে প্রার্থীদের বিশাল ক্ষতি হবে। হতাশার সৃষ্টি হবে। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, সরকারি দল তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে। নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা থাকলে আইনি দিক থেকে তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ হারাবে বিএনপি।
এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে বেশি কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। বরং নির্বাচনে অংশ নিলে এর মধ্যে কোনো ব্যত্যয় থাকলে সেগুলো তুলে ধরা যাবে। সেটাও কম কথা নয়। কাজেই নির্বাচন বর্জন কোনো সমাধান হতে পারে না। লড়াইয়ের মাঠে একবার যখন কেউ নামে, সেখান থেকে তার পিছু হটার সুযোগ নেই।