ইসমাঈল হুসাইন ইমু : পুলিশে জনবল বেড়েছে, বেড়েছে লজিস্টিক সাপোর্ট। পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের উন্নত প্রযুক্তি ও জনবল বাড়লেও বাড়েনি সে অনুযায়ী সেবা। হাতের ইশারায় এখনো চলছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত রাজধানীর রাস্তায় লেন পদ্ধতি চালু করা হয়। চার লেনে গাড়ি চলাচলের কথা বলা হয়। সেখানে সর্বডানে ছিল ভিআইপি লেন। কিন্তু তৎকালিন ডিএমপি কমিশনার সাবেক আইজি এ কে এম শহীদুল হকের নির্দেশনার পর বিষয়টি অল্প কিছুদিন চালু ছিল। এখন রাজধানীর অনেক রাস্তার লেনের দাগও মুছে গেছে।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নতুন করে ইমার্জেন্সি লেন নামের একটি লেনের কথা বলা হয়েছে। এই লেনটি ভিআইপি লেন হিসেবে সকলেই জানে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও চালক লাইসেন্স তল্লাশীর সময় তারা একটি এই লেনের জানান দিয়েছে। গত কয়েকদিনের আন্দোলন চলাকালে তারা এই লেন দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের গাড়ি দ্রুত চলাচলে সাহায্য করেছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের এমন নতুন লেনের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বেশিরভাগ মানুষ বলেছেন, এমন একটি লেন থাকা খুবই জরুরি। ঢাকার রাস্তায় এমনিতেই সার্বক্ষণিক যানজট লেগে থাকে। এর মধ্যে অনেক সময় এ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত গতিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে যায়। এমন একটি লেন থাকলে সহজেই জরুরি পরিবহনগুলো চলাচল করতে পারতো।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, লেন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজধানীতে এত বেশি পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খায় পুলিশ। এরপরেও বড় যানবাহনগুলো রাস্তার ডানপাশ থেকে চলতে বলা হয়। তবে না মানলে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
প্রকৃতপক্ষে রাস্তায় বর্তমানে কোন লেনই নেই। যে যার মত গাড়ি চালাচ্ছে। কখনো রিকশা কখনো অটোরিকশা আবার কখনো প্রাইভেটকারও চলে আসছে ডান লেনে। এ কারণে ইমার্জেন্সি লেন ঘোষণা হলে অন্তত জরুরি প্রয়োজনের যানবাহন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করেন পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অনেকে।