নির্যাতিত কিশোরীর নাম আছমা খাতুন (১৪)। তার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে।
কিশোরীর মা জোছনা জানান, তাদের বাড়ির পাশেই ফারসিং নিট কম্পোজিট লিমিটেড। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের উত্তরার ৩ নং সেক্টরের ৭/বি রোডের ৩১ নং বাসায় বসবাস করেন। এক বছর আগে তিনি মাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আছমাকে বাসায় নিয়ে যান। কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়লে প্রথমদিকে গালিগালাজ করা হতো। পরে শরীরে গরম তেল ঢেলে দেয়া, লাঠিপেটা এবং সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হতো। এতে শরীরে খত হয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয়া হতো না। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ জুন বিকেলে তাকে বাসে গ্রামে পাঠানো হয়। তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওই কিশোরী বলেন, আবু তাহের কিল ঘুষি মারতেন। সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিয়েছেন। গৃহকর্ত্রী শাহজাদীও শরীরে গরম তেলের ছিটা দিতেন। তারপর দগ্ধ ঘায়ের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটাতেন। চার মাস এমন নির্যাতন চলছিলো।
শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল উত্তরা হওয়ায় নির্যাতিতের পরিবারকে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনি সহায়তা নেয়ার পরার্মশ দেয়া হয়েছে।