আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, উগ্রতা, ভুয়া কন্টেন্ট তৈরি বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বা কওমী মাদরাসা কোনোভাবেই জড়িত নয়।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক পাড়ার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভুয়া কন্টেন্ট, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মাদরাসা ছাত্ররা কোনো উগ্রবাদি দলে বা কর্মকান্ডে জড়িত নয়। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল যারা উগ্রবাদী কর্মকান্ডের পর রাজনৈতিক সুবিধা পাবে, তারাই এতে জড়িত। আমাদের আগে সংগঠিত ঘটনার পেছনে উপকারভোগি কারা বের করতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে করা জড়িত। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত
তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায়, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় ধর্মী উস্কানি দিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়েছে। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়ত করেছে, লন্ডন থেকেও এর জন্য ফোন এসেছে।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হানিফ বলেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। সামাজিক যাগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়া উচিত। এর নেতিবাচক প্রভাবও জানা দরকার। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের মধ্যকার যোগাযোগ সহজ করেছে। তেমনি পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধও কমিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগে দেখলাম, এর ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে গেছে। তবে নাম পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার ও বা বিভ্রান্তি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ পেশ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। আলোচনায় অংশ নেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিনয় প্রিপনটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, বিএনপির নেতা ব্যরিষ্টার সারোয়ার, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, হুমায়ূন কবির, অজয় দাস গুপ্ত, কওমী মাদরাসা ছাত্রদের পেইজের এডমিন সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রমুখ