সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের বাজার মূল্য ছিল এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ঘটনা ঘটলো অ্যাপল প্রথম পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর। গত কয়েক বছর ধরে উভয় প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসা বেড়ে চলেছে, কিন্তু সামনের দিনগুলোতে সেটা কতটা প্রসার লাভ করবে তা নিয়ে চলছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই।
২০০৭ সালে যখন প্রথম আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপলের শেয়ার ১১০০% টাকায় উঠে যায় এবং আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ লাফিয়ে ওঠে।
অ্যামাজনের ক্ষেত্রে এর বাজার মূল্য লাফ দিয়ে ৬০০বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০০ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে কেবল মাত্র ১৬ দিনে। বিপরীতে একই ঘটনা অ্যাপলের ক্ষেত্রে ঘটে ৬২২ দিনে।
যদিও অ্যাপল এবং অ্যামাজন বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা প্রদান করে, তারা উভয়ই প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, বাজারে প্রচলিত পাঁচটি শ্রেষ্ঠ পারফর্মিং প্রযুক্তিগুলোর দুটো তারাই উৎপাদন করে। যেগুলোকে সাধারণ ভাবে যেগুলো ‘ফাং’ বলে পরিচিত-যা দিয়ে বোঝানো হয়- ফেসবুক, অ্যাপল, অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স এবং গুগল।
গ্লোবাল ডেটা রি-টেইল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিল স্যান্ডার্স মনে করেন উভয়েরই অগ্রগতি চলবে তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থনে।
অ্যাপল এবং অ্যামাজন -এর সম্পদ প্রায় ২৫টি বৃহৎ আমেরিকান কম্পানির সম্মিলিত মূল্য।
কিন্তু অ্যাপেলের চেয়ে অ্যামাজন বড় মার্কেট প্লেয়ার। অ্যাপেল থেকে বছরে একজন হয়তো একটি পণ্য কিনতে পারবে। সেক্ষেত্রে অ্যামাজনের আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে নেতিবাচক দিক হল, দুটো প্রতিষ্ঠানই ব্যাপক রূপ নেয়ায় তারা এখন কয়েকটি সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
যেখানে তাদের অতিরিক্ত কর দিতে হচ্ছে। তবে যদি অ্যাপল ও অ্যামাজনের সরাসরি লড়াইয়ের কথা আসে তাহলে বলতে হবে অ্যামাজনের কিছু শক্তিশালী দিক রয়েছে।
তাই আমার বিশ্বাস অ্যামাজনই জয়ী হবে, বলেন স্যান্ডার্স। বিবিসি