গণমাধ্যমে অনেক বিষয়ের সূচনা করেছেন নাঈম ভাই। দূর থেকে শোনা নাঈমুল ইসলাম খান আর কাছ দেখার পার্থক্যটা অনেক বেশি। মেধা, মনন আর নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আসায় তার জুড়ি নেই।
নাঈম ভাই একজন সৃজনশীল মানুষ, সারাক্ষণ চিন্তা করেন। আমার নাঈম ভাইয়ের এই ফিরিস্তি গাওয়ার সুযোগ নেই। বেশ ভালো লাগে যখন গণমাধ্যম ব্যাক্তিদের আড্ডায় তাকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিকদের ছোটখাটো সব আড্ডায় আলোচনায় স্থান করে আছেন তিনি।
আমি দেখি একটু অন্যভাবে। আজকের যে নারী সাংবাদিকতার উর্বর ক্ষেত্র তার বড় অংশীদার করতে চাই তাকে। চড়াই উৎরাইয়ের ঘোর অন্ধকারে এক সকালে নাঈম ভাইয়ের ফোন পেলাম। পরদিন গেলাম, চাকরি হয়ে গেলো। প্রায় ছয়মাস কাজ করার পর প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব।
প্রতিদিন সকালে দেখি বসের টেবিলের সামনে সিনিয়র জুনিয়র অনেকেই। ডাক দিয়ে বলেন, সুইটি তোমার টিমে যুক্ত করে নাও। কোথায় যাবে। আমাদেরকে কন্ট্রিবিউট করবে। এভাবে প্রতিদিন আসে আর যায়। বলাই থাকে ভালো কোথাও হয়ে গেলে চলে যাবে। নাম দিয়েছি গণমাধ্যমের মাজার মানে বটতলা। তারপর তো সেই বটতলার মুরিদান হিসেবে আমিও কতজনকে সুপারিশ করেছি। স্বাধীনভাবে কাজ করার যে মজা তা মনে হয় কোনো মেয়ে নাঈম ভাইয়ের বটতলায় ছাড়া করতে পারবে না। এখানে এসে সংবাদকর্মীরা পেশায় থেকে যাওয়ার শেষ ইচ্ছাটা পায়। আমিও পেয়েছি।
আজ বটতলায় উৎসব। যাবো আমিও একটা রঙ্গিন সুতো বেঁধে আসবো। সম্প্রতি আমি বটতলা ছেড়ে এসেছি। কিন্তু প্রতিদিন মিস করি। প্রতিদিন বটতলার সব মুরিদদের জন্য শুভকামনা করি। বটগাছটার জন্য অনেক ভালোবাসা জানালাম।
লেখক : প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক দেশ রূপান্তর