মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বিএনপির ভালো প্রার্থীদের জামিন না দেওয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে। সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনা জানেন যে প্রতিকূলতা, যে প্রতিকূলতা কখনোই এখন পর্যন্ত একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য যথেষ্ঠ নয়। সরকার বিরোধী দলের কোনো দাবি গ্রাহ্য করেননি। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেননি, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করেননি। তারা সংসদ ভাঙেননি এবং যে কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী তফসিল ঘোষণার পরে কোনো গ্রেপ্তার করা হবে না, নতুন করে কোনো মামলা দেওয়া হবে না, তা অব্যাহত রয়েছে।’গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে-দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকালও (রোববার) আমরা খবর পেয়েছি আমাদের সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার জন্য যশোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি যে হোটেলে ছিলেন (আইয়ুব সাহেব সম্ভবত) তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার কোনো খবর আমরা এখনো পাইনি। বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য আমি আপনাদেরকে আমার সাংবাদিক বন্ধুদেরকে অনুরোধ করব।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রায়ই দেখছি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষোভের বিষয় আমাদের প্রার্থী, যে পটেনশিয়াল প্রার্থী যারা সম্ভাব্য ভালো প্রার্থী তাদেরকে মামলাগুলো দিয়ে তাদেরকে জামিন না দিয়ে তাদের জামিনের শুনানিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে এবং সেটা নির্বাচনের পরে দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা নতুন কৌশল, তারা আদলতকে ব্যবহার করে, নিম্ন আদলতকে ব্যবহার করছে নির্বাচনের উপরে চরমভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।”আমরা এ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের গোচরে নিয়ে এসেছি, সরকারের গোচরে তো এনেছিই’-এ কথা জানিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো রকমের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার কোনো আগ্রহ সরকারের তরফ থেকে দেখা যায়নি। উপরন্তু তারা একটা নেগেটিভ অবস্থান তৈরি করছেন, যে নেগেটিভ অবস্থায় এই নির্বাচন কখনো অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি না। সে জন্যই আবারও আমরা বলছি, যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে সমস্ত গ্রেপ্তার বন্ধ করা, রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়া, বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।
আমাদেরসময়