সাধারণ ওয়েবসাইটগুলোর চাইতে ৫০০ গুণ বেশি তথ্য আছে ‘ডিপ ওয়েবে’। ইন্টারনেটের এই গোপন ভাগ শুধুমাত্র বিশেষায়িত সফটওয়ারের দ্বারাই ব্যবহার করা যায় এবং এতে সাধারণ ইন্টারনেট জগতের চাইতে সংরক্ষিত আছে ৫০০ গুণেরও বেশি তথ্য।
জনপ্রিয় অজ্ঞাত ব্রাউজিং নেটওয়ার্ক টর বা দ্য অনিয়ন রাউটার ব্যবহার করে ডার্ক ওয়েবের সঙ্গে সংযোগ করা যায়। অজ্ঞাত থাকা ছাড়াও ইন্টারনেটের সেন্সরশীপ এড়ানোর অন্যতম উপায় ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব। সাধারণ ওয়েবসাইট গুগল, উইকিপিডিয়া, দ্য ক্লাউড, বিং, মজিলা হচ্ছে সারফেস ওয়েব। এর কিছুটা গভিরে দেখা মেলে ডিপ ওয়েবের। এতে সরকারী গোপন নথিপত্র ও প্রতিষ্ঠানিক তথ্য থাকে। হ্যাকার ও অবৈধ কার্যকলাপের স্থান ডার্ক ওয়েবের অবস্থান এরও গভীরে। টর ব্রাউজারের এনক্রিপ্টেড সাইট, অবৈধ তথ্য, পর্ণের মত নানা কার্যকলাপের জগত এই ডার্ক ওয়েব। এতে মাদক, অস্ত্র, চুরিকৃত আর্থিক তথ্য এবং মূল্যবান তথ্য কেনা-বেচা করা হয়।
ডার্ক ওয়েব ও ডিপওয়েবকে অবৈধ বলা হলেও কতিপয় বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ইন্টারনেট সেন্সরশীপ এড়াতে ডিপ ওয়েব উপকারী। সাইবার সিকিউরিটি ফার্মের ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস কারমেকাল বলেন, ‘টর ব্যবহার করে ডিপওয়েবে পৌঁছানো হয়। টর ব্যবহারকারীরা কী ব্রাউজ করছে তার নাগাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডররা পায় না। ব্যবহারকারীর তথ্য, স্থান জানতেও তারা সক্ষম নয়।’ যেমন, টর ব্রাউজার ব্যবহার করে যদি কেউ সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনের একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চান তবে এটি সিঙ্গাপুর থেকে নিউইয়র্ক , সেখান থেকে সিডনী, সিডনী হয়ে কেপটাউন এবং সর্বশেষ লন্ডনে পৌঁছবে। কারমেকাল বলেন, ‘টরের মতো সার্ভিস ব্যবহারকারীরা সেন্সরশীপ ও ইন্টারনেটে ধর-পাকড় এড়াতে সক্ষম। সাংবাদিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন।’ সিএনবিসি।