অনেকেই মনে করেন যে, যেহেতু ঠেকে ঠেকে কোরআন তেলাওয়াতের দ্বারা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায় তাই তারা সারাজীবন ঠেকে ঠেকে কোরআন পড়তে পছন্দ করেন। এ অবস্থা থেকে তারা বের হয়ে আসতে চাননা বা ভালো, দক্ষ হয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতে চাননা। অথচ এটা তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
কোরআন শরিফ সহি-শুদ্ধরূপে তেলাওয়াতের মর্যাদা তো অনেক উর্দ্ধে। কিয়ামতের দিন এ শ্রেণির মানুষ উচ্চাসন লাভে ধন্য হবেন। হাদিস শরিফে এসেছে, হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত- রাসূল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করে ‘তো’ ‘তো’ করে অর্থা’ ঠেকে ঠেকে এবং এ জন্য তার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হয় তবে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। (সহিহ মুসলিম, নং- ১৭৩২)
অন্যত্র হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবি করিম সা. ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি হাফেজে কোরআন এবং সে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করে, সে ব্যক্তি লিপিকার সম্মানিত ফেরেশতার ন্যায়। আর যে ব্যক্তি কষ্ট করে ঠেকে ঠেকে কোরআন তেলাওয়াত করে সে দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করবে। (সহিহ মুসলিম ও বুখারি, হাদিস নং- ৪৫৭৭)
এ বিষয়ে মোল্লা আলী কারী রহ. বায়হাকি ও তাবরানি শরিফের একটি বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, যারা কোরআন শরিফ হিফজ করার চেষ্টা করে কিন্তু বারবার চেষ্ট করা সত্বেও মুখস্থ করতে পারেনা আবার চেষ্টাও ছাড়েনা আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কোরআনের হাফেজদের সাথে হাশর করাবেন। এটাই তাদের পুরস্কার। (মিরকাত)