শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমানো, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সূচকে সাফল্য অর্জিত হলেও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েই গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে জনবল সংকট দূর ও যথাযথ সমন্বয় করতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বলছেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে শহরের মতো স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়াই তাদের লক্ষ।
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ লাইন পরিচিত দৃশ্য। প্রতিটি হাসপাতালেই এমন উপচে পড়া ভিড়ের তুলনায় নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। গ্রামে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমার মেয়ের আজকে তিনদিন ধরে প্রস্রাব-পায়খানা দুটোই বন্ধ। কিন্তু আমি কোন ডাক্তারের কাছেও দাড়াতে পারছি না। গেলেই বের করে দিচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, যদি সিকিউরিটিকে পয়সা দিয়ে আমাদের ঢুকতে হয়, তাহলে মানেটা কি…?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের পদায়ন ও পদোন্নতির জটিলতা দূর করে জনবল বৃদ্ধি এবং গ্রামে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাই হবে নতুন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। দৃষ্টি দিতে হবে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে সেবার মূল্যের লাগাম টানার দিকে। বাড়াতে হবে স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘যে জনবল আছে, সে জনবলগুলো সঠিকভাবে বিন্যাস্ত না। রেফারেন্স সিস্টেম না থাকার কারণে রাজধানীতে চাপ পড়ছে। রোগীগুলো সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, ‘যথেষ্ট আইন তৈরি হয়নি। টেস্টগুলোর কত রেট হবে সেই রেটগুলোই স্থির হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীরা বলছেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো আগে বাস্তবায়ন করা হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ৩০টির অধিক ওষুধ পাবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো অনেক। আমরা চ্যালেঞ্জে ভয় পাই না। স্বাস্থ্যখাতে বিরাট আশা আছে। আমাদের কাজ হল দায়িত্ব ও আশা পূরণ করা।’
মন্ত্রীরা বলছেন, বিভিন্ন মেয়াদী কর্মসূচীর মাধ্যমে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়াই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। সূত্র: সময়টিভি