সর্বশেষ বাঘ শুমারির তথ্য অনুযায়ী গণনায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংখ্যা তিন বছরের আগের গণনা থেকে ২৪টি বেড়ে ১৩০টিতে পৌঁছেছে। তিন বছর আগের গণনায় এ সংখ্যা ছিল ১০৬। সম্প্রতি সুন্দরবনের ৩৬ ভাগ এলাকায় ক্যামেরা ট্রাপিং করে বাঘ ও বাঘ শাবকের ছবি দেখে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার পায়ের ছাপ দেখে বাঘ গণনা করা হয়নি। বাঘের ছবি তুলে গোনা হয়েছে সংখ্যা। এ জন্য পূর্ব সুন্দরবন এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর বসানো হয় ক্যামেরা। এতে বেশ কিছু বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে আগামী অক্টোবরে বাঘের সংখ্যা বাড়ার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে। যা আজ কালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
সূত্র আরো জানায়, ১৯৭৫ সালে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে বাঘ জরিপ করেন জার্মান প্রাণী গবেষক হেন রিডসে। তখন সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘের খবর জানা যায়। ২০০৪ সালে পাওয়া যায় ৪৪০টি বাঘ। কিন্তু দুই বছর আগে ২০১৬ সালে জানা যায় সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিমের ২৬ ভাগ এলাকায় বাঘ আছে ১০৬টি। সেবার কিছু ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও পায়ের ছাপ দেখে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এবার শুধু ট্র্যাপিং নির্ভর জরিপ হয়েছে।
বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির জানান, পায়ের ছাপ থেকে ক্যামেরা ট্র্যাপিং বেশি নির্ভরশীল ও বিজ্ঞানসম্মত। বনের খাল, খাড়ি, ও বাঘ বিচরণ এলাকার মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। এখন ছবি দেখে গণনার কাজ চলছে। দুই বছর আগে প্রাপ্ত ১০৬টি বাঘের চেয়ে এবারের জরিপে সংখ্যা বেড়েছে। অপরদিকে গত ১৮ বছরে ৫০টি বাঘ মারা গেছে।