রাজধানীর গোলাপবাগের একটি বাসা থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ এবং তার স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ঝগড়ার জেরে গৃহবধূ জোৎস্না বেগম (৩০) স্বামী স্বপন মিয়ার (৪০) গলাকেটে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। একইসঙ্গে দুই সন্তানকে চেতনানাশক ওষুধও খাইয়েছিলেন তিনি।
আহত স্বপন এবং এই দম্পতির নবম ও দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ওয়াজেদ আলী জানান, জুমার নামাজের সময় গোলাপবাগের ২৫/খ/১ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটে জানিয়ে ওসি বলেন, “জোৎস্না দুই সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে এলাপাতাড়ি কোপায়। এরপর নিজে শোবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।”
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ জোৎস্নার লাশ এবং আহত স্বপন ও তাদের সন্তানদের উদ্ধার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে জোৎস্না তার স্বামীর হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
“রান্না ঘরের বঁটি দিয়ে স্বপনের গলাকেটে ও কুপিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুই সন্তানকে রাতের খারারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েছিল জোৎস্না। কিন্তু সকালে ইফতির ঘুম ভেঙে যায়।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয় ফরিদ উদ্দিন বলেন, “শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জোৎস্না ও স্বপনের মধ্যে আবার ঝগড়া শুরু করেন। স্বপনকে কুপিয়ে জখম করে জোৎস্না যখন পাশের কক্ষের দরজা আটকে আত্মহত্যা করেন, তখন বড় সন্তান দরজা ধাক্কাধাক্কি করেছিল।”
স্বপন বেইলি রোডে ‘রিচম্যান’ নামের একটি দোকানের বিক্রিয়কর্মী বলে জানান তিনি।