আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে শত ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘নেট মিটারিং: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে উত্থাপিত এক প্রবন্ধে এই দাবি করেছেন এখাতের বিশেষজ্ঞ মনোয়ার মঈন। তিনি বলেন, ওই সময় দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ৫০ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদা সৌর শক্তি ব্যবহার করেই উৎপাদন করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং সোলার মডউল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যৌথ ভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী। এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। সোমনারে দ্বিতীয় প্রবন্ধটি উত্থাপন করেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপিকা শাকিলা আজিজ। আলোচনায় অংশ নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সবুর, সোলার এনার্জির প্রতিনিধি আব্দুল হালিম মৃধা, মাসাদুর রহিম, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কাদির, সদরুল হাসান প্রমূখ।
মনোয়ার মঈন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন দেশের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, মালয়েশিয়ায় এখন ২৫.৯ ভাগ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বলানি থেকে উৎপাদিত হয়। একই ভাবে থাইল্যান্ডে ১৪.২ ভাগ, তুরস্কে ১১.২ ভাগ এবং বাংলাদেশে মাত্র ৪.৫ ভাগ উৎপাদিত হয়। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব ফসিল ফুয়েল শেষ হয়ে যাবে সেজন্য এখনই আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
শকিলা আজিজ তার প্রবন্ধে বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, সোলার প্যানেলের কারনে আবাদী জমি শেষ হয়ে যাবে এই ধারনা সঠিক নয়। জমির চাষাবাদ অব্যাহত রেখেই সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব। এক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন দেশের তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ফসিল ফুয়েল অবশ্যই পৃথিবীর জন্য এখন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেল পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমাদের বিমানবন্দরগুলোর ছাদ ব্যবহার করেই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই ভারত দিল্লী এবং কলকাতা বিমানবন্দরে এই প্রকল্প চালু করেছে।
পাওয়ার সেলে ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন মনোয়ার মঈনের প্রবন্ধের প্রশংসা করে বলেন, ২০৫০ সালে শত ভাগ বিদ্যুৎ না হলেও যদি আমরা ৫০ ভাগও নবায়নযোগ্য জ্বলানি ব্যবহার করে উৎপাদন করতে পারি তাহলেই মনে করবো আমরা সার্থক।