শ্রম আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করিবার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রদানের প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ তৈরী করেছে সরকার। সংশোধনীটি সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে আরো বলা হয়েছে, তবে কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অবিশ্যিকভাবে প্রদান করতে হবে।
উল্লেখ্য, শ্রম আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করার তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রদানের কথা বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে।
তাছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল দায়ের করার অনধিক ৯০ দিনের মধ্যে প্রদান করার কথা বলা হয়েছে সংশোধনী আইনে। কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে রায় প্রদান করা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যিকভাবে প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে এতে।
বিদ্যমান আইনে, একজন চেয়ারম্যান সমন্বয়ে অথবা সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করে একজন চেয়ারম্যান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে একটি শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে এবং এই ট্রাইব্যুনালের রায় আপীল দায়ের করিবার অনধিক ৬০ দিনের মধ্যে প্রদানের কথা বলা হয়েছে।