নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনারা জেগে উঠুন এবং আবার দেশকে স্বাধীন করুন বলে আহ্বান করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার এক সংহতি সমাবেশে ফখরুল বলেন, দেশে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। সবসময় দমবন্ধ করা একটা পরিবেশ। আপনি চিন্তা করতে পারেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের রাতের বেলা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর রিমান্ডে নিচ্ছে। অপরাধটা কী? তারা সমর্থন দিয়েছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে। উস্কানি দিয়েছে নাকী।তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে আমরা প্রথম দিনই সমর্থন দিয়েছি এবং এই সমর্থন অব্যাহত রেখেছি। আজকেও কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকে আমরা অবশ্যই সমর্থন করব। জনগণকে আহ্বান করব শুধু নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনারা জেগে উঠুন এবং আবার দেশকে স্বাধীন করুন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে তার ধানমণ্ডির বাড়িতে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার যাওয়া-আসা ছিল জানিয়ে এর কারণ নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় ‘সরাসরি জড়িত’ থাকার কারণেই জিয়াকে পরে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল বলে তার বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, “আমরা বলতে চাই যে, আপনি রাজনীতিবিদ। আপনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আপনার মুখ দিয়ে এই ধরনের অর্বাচীন কথাবার্তা কখনই শোভা পায় না। এটা আপনার স্বভাব। আপনার এই স্বভাবের মধ্য দিয়ে এই ধরনের একেবারে হাস্যকর ও অর্বাচীন কথাবার্তা বলেন। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এক এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি মারাত্মক কথা বলেছেন। এরপরেও আপনারা সরকারে আছেন? এখনো পদত্যাগ করছেন না । সরকার আপনাদের, আর আপনারা এক এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একটা কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এক এগারোর বেনিফিসিয়ারি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা এতো বেনিফিসিয়ারি যে, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তাদের নেত্রী বিদেশে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকারের সকল কর্মকাণ্ডকে বৈধ করে দেবেন। দিয়েছেনও, সংসদে আইন পাস করেছেন। তাহলে এক এগারোর পদধ্বনি শুনতে পারছেন কেন? তাহলে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন।”
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক
ইউনিয়নের উদ্যোগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই সংহতি সমাবেশ হয়।