বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়টি আগামী মাসের মধ্যে ফয়সালা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রশ্ন করেছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগে কতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “২০১০ সালের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর এমপিওভুক্তি করা সম্ভব হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া করতে পারি না। আমরা অর্থ ছাড়ের জন্য আরও আগে থেকেই অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করে যাচ্ছি। তবে ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী রাজি হয়েছেন এবং কিছু টাকা বরাদ্দও দিয়েছেন।
“এমপিওভুক্তির জন্য আমরা একটি ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছি। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করবেন। বাছাই করা হবে। কী ভিত্তিতে দেব, প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে ফয়সালা হবে।”
তবে কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী।
“এখানে অনেক বিষয় থাকে। আমরা চেষ্টা করছি বাড়ানোর জন্য। আগামী মাসের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যাবে,” বলেন তিনি।
যে সব উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, সরকার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সকল বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগে প্রশ্ন ব্যাংক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
সরকারি দলের ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, বর্তমানে দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৪ জন।
সংরক্ষিত আসনের আক্তার জাহানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, “হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কর্মসূচি আছে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে পরিবারের ভেতর পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হিজড়াদের সমাজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা। এ কারণে পরিবারে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি সেমিনার করা হবে। সেখানে থেকে যেসব মতামত পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের মধ্যে বেচার জন্য বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহরে ২৬টি প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার ২২০টি প্লট তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে ১৩টি ফ্ল্যাট প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৭৫৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৯টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজার ৮৫৫টি প্লট এবং ২১টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৯১টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৯১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান আছে।
– বিডিনিউজ