শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের এই জয়ে বড় অবদান দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহীমের। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে মালিঙ্গার আগ্রাসী বোলিং মোকাবেলা করে দলকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। এদিন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। অসামান্য এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপের এলিট ক্লাবে নাম লেখান ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
এদিন মাত্র ২ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে যখন ধুঁকছে বাংলাদেশ, তখনই দলের হাল ধরেন মুশফিক। মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন। ১৫০ বলে ১৪৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন তিনি। যেটি এশিয়া কাপের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এ তালিকার এক নম্বরে আছেন ভারত অধিনায়ক।
২০১২ সালে ঢাকাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন কোহলি। যা এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর পরেই ১৪৪ রান নিয়ে আছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার ইউনুস খান। ২০০৪ সালে হংকংয়ের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন তিনি। মুশফিকের ইনিংসটাও ১৪৪ রানের। কিন্তু ইউনুস মুশফিকের চেয়ে কম বল খেলেছেন। ১২২ বল খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক তাই ইউনুস। চার নম্বরে আছেন আরেক পাকিস্তানী, শোয়েব মালিক। তার ইনিংসটি ১৪৩ রানের। আর পঞ্চম সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক আবার কোহলি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচে মুশফিকের ইনিংসটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ইনিংস বলে বর্ণনা করেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্তুজা। ওই দিন ম্যাচ শেষে তিনি বলেছিলেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ইনিংস।
নিজের এই ইনিংস সম্পর্কে মুশফিকের বক্তব্য ছিল, ‘খুব সম্ভবত এটাই সেরা।’ ম্যাচ শেষে সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এখানে খুব গরম ছিল। প্রতিটা বলে মনোযোগ ধরে রাখা খুব কঠিন ছিল। দুই-তিন রান নেওয়া কঠিন ছিল। আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত এটা সেরা। তবে আশা করি, সামনে এমন ইনিংস আরও অনেক আসবে।’