গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য নয়, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার, দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ব্যক্তিস্বার্থ নয়, দেশের মানুষের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদের বাইশতম অধিবেশনের দশ কার্যদিবসে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন বিলসহ আঠারোটি বিল পাশ হয়।
সমাপনী অধিবেশনে সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারো কণ্ঠরোধের জন্য বিলটি পাশ করানো হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অসামাজিক, বিভ্রান্তিকর ও জঙ্গিবাদী ভাবধারা প্রচার করা হয়। মানুষের চরিত্র হনন করা হয়। রাজনৈতিক কুৎসা রটনা করা হয়। এগুলো সমাজে অশুভ বার্তা দেয়।সমাজে ও পরিবারে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো দেখা, মানুষ ও সমাজকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকতা সমাজে সংঘাত বাড়ানোর জন্য নয়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই দেখা যাচ্ছে। অনেক নামকরা সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পরপরই এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের কণ্ঠ রোধ হয়নি। ২০০১–২০০৬ সালে সাংবাদিকদের ওপর কীভাবে নির্যাতন হয়েছে, তাঁরা হয়তো তা ভুলে গেছেন।
ব্যক্তিস্বার্থ নয়; মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অনেকেরই কাছেই ভালো লাগেনি বলেই তারা দেশের উন্নয়ন চোখেও দেখেন না। তাঁর সরকারের সাড়ে ৯ বছর মেয়াদে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। মূল্যস্স্ফীতি কমেছে। বাজেটের আকার সাত গুণ বেড়েছে। ৯০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবেই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে।
জনগনের প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাসের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার ক্ষমতায় গেলে গ্রামের মানুষকেও সব ধরনের নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে।প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ–সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ। ২১০০ সালে প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
– ডিবিসি