নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, এরমাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিজয় হয়েছে এবং এই দাবিটি যে যৌক্তিক ছিলো সরকার তা বুঝতে পেরেছে। পাশাপাশি বিএনপির ঘোষিত ভিশন-২০৩০ তে কোটা সংস্কারের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার প্রতিফলন হলো কোটা না রাখার সুপারিশ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সফলতা হিসেব দেখতে চাই। ভিশন ২০৩০ তে কোটা সংস্কারের বিএনপির যে কমিটমেন্ট ছিলো তা যে যৌক্তিক সেটা প্রমাণিত হলো এবং কোটা বিরোধী আন্দোলনের যারা মাঠে নেমে কাজ করেছে তাদের সফলতা এটা। আমরা সেখানে বলে ছিলাম আমরা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা কোটা সংস্কার করবো।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদেরকে আর হয়রানি, মামলা দেওয়া ঠিক হবে না। এই আন্দোলন করতে গিয়ে যাদেরকে মামলা দেওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, জেলে নেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার কমিটির কোটা না রাখার সুপারিশের পর তাদের বিরুদ্ধে আর মামলা থাকে না। তারা যে যৌক্তিক আন্দোলন করেছিল তাদের মামলা প্রত্যাহার, যারা জেলাখানায় আছে যদি এখনো থেকে থাকে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া উচিত।