গত রমজানের ঈদের মতো কোরবানির ঈদেও কারাগারে থাকছেন বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে সঙ্গে থাকা একমাত্র গৃহপরিচারিকা সুফিয়াকে নিয়েই ঈদ উদযাপন করবেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
তবে ঈদের দিন দুপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের বাইরেও কয়েকজন আত্মীয়েরও যাওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঈদের দিন ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে পরিবারের সদস্য ছাড়াও নেতাকর্মীরা জেলগেটে যাবেন। তবে অনুমতি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসনকে দেখতে বিএনপির একাধিক অঙ্গ সংগঠনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা ঈদের দিনের খাবার ও ফলমূল নিয়ে জেলেগেটে যাবেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিললে কারাবন্দী দলের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তবে কারা সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের বাইরে ঈদের দিন কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। ঈদের দিন নিরাপত্তাও বাড়ানো হবে।
দলের চেয়াপারসনের দেখা না পেলেও নেতাকর্মীরা ঈদের দিন রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রেপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে সেখানে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি কামনায় ফাতেহা পাঠসহ মোনাজাত করা হবে।
এর আগে শনিবার খালেদা জিয়ার পুত্রবধু শর্মিলা রহমানসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে আসেন। তবে খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি।
অন্যদিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার বাইরে নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পালনের কথা রয়েছে।
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থেকেই কেটেছে তার ৭৩ তম জন্মদিন। ওইদিন দলটি কেক না কেটে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করে। গেল ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।