এবারের কোরবানি পশুর শতভাগ যোগান আসবে দেশি খামারির গোয়ালঘর থেকে। এমনটাই বলছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে বৃদ্ধ ও অনুৎপাদনশীল গবাদিপশুর কারণে রোগ বিস্তারের শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা।
তাই এ সব প্রাণী নিজ জেলার বাইরের হাটে না নেয়ার পরামর্শ তাদের। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রাণির শতভাগ যোগান আসবে দেশি খামারীর গোয়ালঘর থেকে বলে দাবি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে বৃদ্ধ, বাতিল ও অনুৎপাদনশীল গবাদিপশু গুলোকে নিয়ে সংকায় আছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শ্রাবণ আর ভাদ্র মাসের বৃষ্টি এসব গবাদীপশুর স্থানান্তর হতে পারে রোগ বিস্তারের কারন। তাই এসব প্রাণীকে নিজ জেলার বাইরের হাটে নিয়ে না যাওয়ার পরামর্শও বিশেষজ্ঞদের। এভাবেই পরম যত্নে কোরবানির প্রাণী লালন-পালন করছেন খামারিরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, কোরবানির জন্য এবার মোটাতাজা করা হয়েছে ২৯ লাখ ১০ হাজারের মতো গরু-মহিষ। আর ছাগল-ভেড়া ১৮ লাখ ২৬ হাজার। এছাড়া বয়স্ক, অকেজো কিংবা অনুৎপাদনশীল গরু-মহিষ আর ছাগল-ভেড়া থাকছে, যথাক্রমে সাড়ে ১৫ লাখ ও ৫২ লাখ ৭৪ হাজার। সবমিলিয়ে প্রাণির জোগান থাকতে পারে, এক কোটি ১৬ লাখের মতো। গেল বছর সারা দেশে কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার প্রাণী। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দাবি, এবার যদি চাহিদা ৫ ভাগও বাড়ে তাতেও কোনো সংকট হবে না।
তিনি জানান, পাশের দেশগুলো থেকে সারা বছরে প্রায় ২ লাখ গরু ঢুকলেও, ঈদে নতুন করে আমদানির সুযোগ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা সমস্যা দেখছেন অন্যখানে। তারা বলছেন, ভাদ্রের বৃষ্টিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রাণী পরিবহনে হতে পারে রোগের বিস্তার, যা কেবল প্রাণীতেই নয়, সংক্রমণ ঘটাতে পারে মানবদেহেও। তাই বয়স্কো ও দুর্বল প্রাণী দূর-দূরান্তে পরিবহন না করার পরামর্শ তাদের। কোরবানীকে ঘিরে দেশে বাণিজ্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। আর চামড়ার বাণিজ্য ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।